ICO Drops – Crypto Project Listings ICO Drops – Active & Upcoming Projects ...
Settings
- Night Mode
Pinned Post
মোবাইল ফটোগ্রাফি অন্যান্য দেশসহ আমাদের দেশেও এখন জনপ্রিয়। তাই আজকে আপনাদের জানাবো ক্যামেরার একদম সাধারন জ্ঞান গুলো। ক্যামেরা সম্পর্কে যেগুলো...
মোবাইল ফটোগ্রাফি অন্যান্য দেশসহ আমাদের দেশেও এখন জনপ্রিয়।
তাই আজকে আপনাদের জানাবো ক্যামেরার একদম সাধারন জ্ঞান গুলো। ক্যামেরা সম্পর্কে যেগুলো না জানলেই নয় এবং সকলেরই এসব ব্যাপারে বেসিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন ক্যামেরা ব্যবহারের ক্ষেত্রে! হোক তা স্মার্টফোন বা ডিএসএলআর ক্যামেরা।
প্রথমত প্রতিটি স্মার্টফোনের ক্যামেরার মাঝেই পার্থক্য রয়েছে এবং প্রতিটি মোবাইলের ক্যামেরার রয়েছে এক বা একাধিক লেন্স এবং সেন্সর। প্রশ্ন আসে –
সেন্সর কি?
– সেন্সর হলো আপনার ক্যামেরার লেন্স দিয়ে যে আলো দেখা যাবে সেটি ক্যাপচার করে যা। ক্যামেরাতে সেন্সর অনেক গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার এবং এর উপরই নির্ভর করে অনেক কিছু।
– সেন্সর বিভিন্ন ধরনের আছে, যেমন CMOS,OMNI,EXMOR। ক্যামেরায় বিভিন্ন আকারের সেন্সর থাকে যেমন ফুল ফ্রেম – ক্রপ ফ্রেম! স্মার্টফোনে সবগুলোই ক্রপ বডি সেন্সর এবং আকারে এগুলো তূলনামূলক ছোট হয়ে থাকে।
– সেন্সরের প্রধান একটি বিষয় হলো এর সাইজ, সেন্সরের সাইজ বর্ণনা করার জন্য কিছু গাণিতিক নাম্বার ব্যবহার করা হয়, যা আমরা অনেকেই দেখেছি। যেমন ১/২.২, ১/২.৮ ইত্যাদি। ১ ভগ্নাংশের সাথে যে নাম্বারটি রয়েছে সেটি যত ছোট হবে সেন্সর সাইজ হবে তত বড়। আর সেন্সর যত বড় হবে ছবির পিক্সেলস ও বড় হবে। পিক্সেলস বড় হলে ছবি হবে আইক্যাচি, আলোকিত এবং ঝকঝকে। যেমন ১/২.২ আকারের সেন্সরটি ১/২.৮ মাপের সেন্সর থেকে আকারে বড় তাই বেশি আলো পাবে এবং বেশি ডিটেইলস ক্যাপচার করতে পারবে। এ ক্ষেত্রে সাইজ দেখেই বুঝা যাচ্ছে কোন সেন্সর ভালো।
অ্যাপারচার (Aperture) কি?
– মোবাইলের ক্যামেরা ডিটেলস দেখতে গেলে আমরা সবাই F/2.0 বা F/1.8 এই ধরনের নাম্বার গুলো দেখি। এইগুলো দ্বারা ক্যামেরার লেন্স দিয়ে সেন্সরে আলো প্রবেশের যে মাধ্যম তার ছিদ্রের আকারকে বোঝানো হয়। যত বড় ছিদ্র/ওপেনিং হবে ততো বেশি আলো প্রবেশ করতে পারবে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে।
– ক্যামেরার গ্লাসের পরেই এই অ্যাপারচার এর অবস্থান। অনেকেই মনে করে থাকেন যে এই অ্যাপারচার এর নাম্বার যত বড় হবে তার ক্যামেরা ততো ভাল। আসলে বিষয়টা উল্টো। এই নাম্বার যত ছোট হবে আপনার ক্যামেরার অ্যাপারচার তত বড়। যত বড় অ্যাপারচার ততো বেশি আলো পাবে সেন্সর এবং ততো ভালো ছবি আসার সম্ভাবনা।
– ডিএসএলআর এর লেন্সগুলাতে আমরা ম্যানুয়ালি অ্যাপারচার চেঞ্জ করতে পারলেও মোবাইলে পারি না। তবে স্যামসাং তাদের বর্তমান ফ্ল্যাগশিপ ফোন এই অপশনটা এড করেছে যদিও। যেমন f/1.5-2.4 এর মানে আপনি ছবির আলোর কথা চিন্তা করে F1.5 কে চেঞ্জ করে f2.4 সিলেক্ট করতে পারবেন।

– অ্যাপারচার সহজভাবে বুঝাতে গেলে বলা যায় যত ছোট অ্যাপারচার তত বড় F স্টপ নাম্বার হবে যেমন –
★ F/1.8 – বড় অ্যাপারচার।
★ F/2.2 – ছোট অ্যাপারচার।
★ F/2.2 – ছোট অ্যাপারচার।
ছোট অ্যাপারচার থাকলে ক্যামেরার লেন্স দিয়ে সেন্সরে আলো কম আসবে এবং ছবিতে আলো কম পাবে । অপরদিকে বড় অ্যাপারচার থাকলে সেন্সর বেশি আলো পাবে এবং ছবিতেও ভালো আলো পাবেন।
– এছাড়াও ক্যামেরার অ্যাপারচার যত বড় হবে ততো ভাল ক্লোজাপ ছবি তোলা যাবে এবং শ্যালো ডেপথ অফ ফিল্ড (Background Blur) পাওয়া যাবে।
Shutter Speed কি?
ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরার শাটার পরার মাঝে দিয়ে ছবি তুলা হয়। এক্ষেত্রে শাটার কতক্ষন ওপেন থাকছে তা খুবই গুরুত্বপূর্ন। ছবি তুলার সময় শাটার পরার এই স্পিডকে বলা হয় শাটার স্পিড।
মোবাইলের ক্ষেত্রে আমরা বর্তমানে বেশির ভাগ ফোনেই এই শাটার স্পিড ম্যানুয়ালি নিয়ন্ত্রন করতে পারি। যেমন এই শাটার স্পিড লিখা হয়ে থাকে ১/৩০, ১.৩” অথবা ৩০” এই ভাবে। ১/৪০ এর মানে হলো আপনার ক্যামেরাটি ১ সেকেন্ডের ৪০ ভাগের ১ ভাগের মধ্যে একটি ছবি তোলতে সক্ষম হবে। আবার যখন শাটার স্পিড ৫” সিলেক্ট করা হবে, এর মানে ক্যামেরাটি ৫ সেকেন্ড ধরে একটি ছবি তোলবে।
– শাটার স্পিডকে আমরা দুইটি নামে ডেকে থাকি। (১) স্লো/লং শাটার (২) ফাস্ট শাটার।
রাতে ছবি তোলার জন্য বা নাইট ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজন হয় স্লো শাটারের। স্পীড ফটোগ্রাফি/একশন ফটোগ্রাফি/স্পোর্টস ফটোগ্রাফির জন্য প্রয়োজন হয় ফাস্ট শাটার।
– স্লো শাটার এ ছবি তোলার জন্য প্রয়োজন হয় ট্রাইপড বা ক্যামেরা স্ট্যান্ড এর। কারণ এই সময় ক্যামেরা শাটার অনেক সময় ধরে খোলা থাকে। ফলে যেকোন ধরনের হাত কাপাকাপিতে ছবির ফোকাস নষ্ট হয়ে যায়।
-কখন কি রকম শাটার ব্যবহার করতে হবে সেটা বোঝার সহজ উপায় হলো আলো সম্পর্কে বোঝা। আলোর পরিমান যত বেশি হবে শাটার স্পীড তত দ্রুত রাখতে হবে যেমন ১/৩০। আলোর পরিমান কম হলে শাটার স্পিড কমাতে হবে। নাইট ফটোগ্রাফির জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আমরা স্লো শাটার ব্যবহার করে থাকি যেমন ১”।
ISO কি?
– ক্যামেরার আইএসও যত বাড়ানো হবে ক্যামেরা কম আলোতে তত বেশি সংবেদনশীল হবে। এর মানে ক্যামেরা খুব কম আলোতেও একটি ভালো আলোর ছবি তুলতে সক্ষম হবে।
– আইএসও আর্টফিসিয়াল আলো যুক্ত করে তাই এটা বাড়ানোর ফলে ছবিতে নয়েজ চলে আসবে। ফলে ছবির মান কিছুটা খারাপ হয়ে যাবে। এটা বোঝার জন্য অল্প আলোতে একটি ছবি ISO 100 তে তুলে এবং একই মুহূর্তে আরেকটি ছবি ISO 1600 or 3200 তে তুলে দুটি ছবি জুম করে দেখুন। যে ছবিটিতে ১৬০০ অথবা ৩২০০ ISO ছিল সেটির ছবিতে আলো বেশি থাকবে এবং অনেক নয়েজ (বাংলাতে ছোট ছোট ধূলাকণাও বলা যেতে পারে) আসবে।

– ভালো সেন্সরের ক্যামেরাতে ISO বাড়িয়ে এবং Shutter Speed Slow করে রাতের বেলাও দিনের আলোর মত ছবি তোলা সম্ভব।
এই ছিল ক্যামেরা নিয়ে প্রাথমিক কিছু তথ্য। আরো কিছু জানার থাকলে কিংবা নতুন কিছু জানাতে চাইলে অবশ্যই মন্তব্য করবেন। নিজের মোবাইল ফোনে যদি ম্যানুয়াল/প্রোফেশনাল মোড থাকে তবে সেখানে গিয়ে এই ব্যাপারগুলো একটা ঘাটিয়ে দেখলেই বুঝবেন আশা করি।
লেখাটি শেয়ার দিতে ভুলবেন না এবং সামনে ফটোগ্রাফি নিয়ে আরো বিস্তর লেখা পাবেন এটিসির সাথেই থাকুন।
Read Also:
Most Popular Airdrop
-
চীনের স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে তাদের নতুন প্রসেসর নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি কিরিন ৯৮০ প্রসেসরের সফলতার পর প্রতিষ্ঠানটি পরবর্তী চ...
-
Huawei Nova 2i (Bangladesh) has been an important release from Huawei at the end of 2017. It is more known as Huawei Mate 10 Lite in the gl...
-
হুয়াওয়ে ওয়াই নাইন ২০১৮ এর সাফল্যের পর এই বছর হুয়াওয়ে মোবাইল দেশের বাজারে উন্মোচিত করলো তাদের নতুন মিড-রেঞ্জার স্মার্টফোন হুয়াওয়ে ওয়াই নাইন...
-
ICO Drops – Crypto Project Listings ICO Drops – Active & Upcoming Projects ...
-
পিসিতে আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো সঞ্চয় করি তা যেখান থেকেই সংগ্রহ করতে হোক না কেন কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় যে পিসি খুব স্লো ভাবে ফাইল ট্...
Footer Link
© - I'm ASHIK . All Rights Reserved Created by jagodesain.com : Muhammad Maki
No comments
Post a Comment